কার্ল মার্ক্স হেঁটে যচ্ছেন বিষন্ন একা
মানুষকে দেখছি—
এ ওর দিকে আঙুল তুলে দাঁড়িয়ে আছে সারাদিন! লুট হয়ে যাচ্ছে কৃষক তবু পাকস্থলীতে, ‘এলাহী ভরসা!’
মানুষকে দেখছি—
ট্রাফিকে আটকে ঘামছে — সকাল দুপুর সন্ধ্যার অলিতে গলিতে…
তবু নিরুপায় জড় বিকারহীন জন্তু যেন;
ক্রোধেও জ্বলে না, বিষাদেও কাঁদে না কোথাও; কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে যাচ্ছে নিজের আগামীকাল!
মানুষকে দেখছি—
আত্মহত্যার দিকে হেঁটে যেতে!
এছাড়া উদ্বৃত্ত আর কিছু নেই! কার্ল মার্ক্স হেঁটে যচ্ছেন বিষন্ন একা!
মোড়ে মোড়ে মেধা – শিশ্ন – শরীর বিক্রি হচ্ছে যখন- তখন! তবু জরায়ুর বিরাম নেই, বীর্যবানের দুনিয়ায়!
মানুষকে দেখছি—
থানার সামনে দাঁড়িয়ে মৃত ইন্সাফের গল্প দিতে! নেতা মালিশের ফলাফল — জামিনে একটি কলাগাছ বউ সেজে ঘরে এসে চুমু খেয়ে যায় রোজ রাতে! এভাবেই চলছে স্বদেশ! মানুষকে যেভাবে দেখছি রোজ গুঁজে দিতে টাকার পুরিয়া! সেখানে কে কাকে জিতিয়ে দিচ্ছে? হুইসেল তুলে ছুটে যাচ্ছে হাজার হাজার বণিকের চোয়াল চিবুক! আকাশ উজাড় হয়ে ঝরে পড়ছে কোটি কোটি পায়রার রক্তিম পালক! আমি শুধু ভিজে যাচ্ছি নিরবে একা।
মানুষকে দেখছি—
ললিপপ চুষতে চুষতে আস্ত লিঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে নির্বোধ! কোটি কোটি কনডম পরা মানুষ সমগ্র দাবার কোর্টে বোবা!
অথচ আমার চোখে জল!
শোকার্ত কাক ডাকছে ইলেক্ট্রিকের তারে বসে,
ময়লার গাড়ি এসে নিয়ে যাচ্ছে লাশ!
খাঁচায় তখনো বাজোরিকা পাখির কল্লোল!
মানুষের এই পয়গাম, মানুষের মুখ থুবড়ে পড়ার!
অথচ আমার মানুষকে একলা ফেলে যাবার উপায় নেই আর!
তাই—
বেদনার মাথায় রেখেছি হাত; জড়িয়ে ধরেছি বুকে;
আমরা তো জানতাম, আমাদের স্বপ্নের শেষ আশ্রয় — মানুষ!